ছোটদের কথা
ছোটদের কথা
বুড়ির বাড়িটা, আমাদের মাধবপুরের বাড়ির একেবারে পশ্চিম গায়ে। মাঝে একটা শুধু ছোট্ট গলিপথ; এঁকে বেঁকে মাধবপুরের বিখ্যাত বাঁশবাগান পার হয়ে, উত্তর দিকে পদ্মপুকুর— ‘গেছো’র বিশাল মাঠটার পায়ের কাছে গিয়ে থেমে গেছে! অনেকদিন আমি এখানে রয়েছি। বুড়িকে দেখেছি বেশ কর্মঠ, শুনেছি বাড়ির এক ছেলে ছিল; আর এক মেয়ে আছে, তার বিয়ে হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মেয়ে, জামাই আসে; তবে অনেকদিন তাদের দেখতে পাইনি! বুড়ি একাই থাকে। যদিও ঠিক একা নয়; বুড়ির বাড়ি কিন্তু জমজমাট নানা গাছপালায়! যেমন— পশ্চিম দিকে পেল্লায় একটা নারকলে গাছ, একটা মিষ্টি বাতাবি লেবুর গাছ, একটা সপ্তপর্ণী বা ছাতিম গাছ। আবার বাড়ির উঠোনে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে সারি দিয়ে বসানো তিনটে আমগাছ, একটা কাঁঠাল গাছ, একটা সুপারি গাছ, আর একটা সজনে গাছ!
দক্ষিণ দিকের আমগাছটা অপূর্ব সুন্দর পাতায় সারা বছর ছাওয়া থাকলেও, আমগুলো বেজায় টক! মাঝখানের আমগাছটায়, আম ফলে কম; তবে বেশ মিষ্টি! মাঝের কাঁঠাল গাছটাও আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বড় বড় কাঁঠালে ভর্ত্তি থাকে। তার পাশে সুপারি গাছটাও সরু সরু পাতার ঝালর ঝুলিয়ে কয়েক কাঁদি হলুদ রঙা সুপারি দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে। আবার সজনে গাছটাও শীতের সময় রাশি রাশি নরম সাদা ফুলের তোড়া দিয়ে নিজেকে সাজায়; আর ঝরা ফুলের ‘অঞ্জলি’ দেয়, আলপনা আঁকে বুড়ির উঠোনে! তবে সবচেয়ে সুন্দর ওদের পাশেই বারোমেসে আমগাছটা! সে, তার সবুজ পাতা, সোনালি কচি কচি পাতা; আর দু-তিন মাস অন্তর সোনা রঙের ও দুধে আলতা রঙের ছোট বড়ো নানা সাইজের সময়-অসময়ের আমের মুকুলগুলো নিজের দেহে গয়নার মতো সাজিয়ে নিয়ে, গরবে-অহঙ্কারে রাজরানির মতো দাঁড়িয়ে থাকে! আবার তাতে রঙিন টুনি বাল্বের মতো আমের কুশি, বড় বড় রঙবাহারি ইলেকট্রিক ডুমের মতো আমের কাঁচা-পাকা রঙিন সজ্জায়, সে রূপবতী রমণীর মতো আকৃষ্ট করে সমস্ত পথচারীকে; পাখিকূলকে, এমনকি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসা হনুমানের দলকেও!
বুড়ি, পাড়ার ছোট ছেলেমেয়েদের ভালোবাসে। অসময়ের কাঁচা-পাকা আমগুলোকে দেখে, ছোটদের মনের কথা বুঝতে পারে! মাঝে মাঝে দু-একটা করে আম দেয় তাদের হাতে; লেবু পাকলে বাতাবি লেবুও দেয়। তাই একা থাকলেও বুড়ি কিন্তু এদের নিয়ে বেশ আছে। গাছগুলোকে সে যেমন ভালবাসে, আবার মাঝে মাঝে গালিগালাজও করে রেগে গিয়ে। সেদিন দেখলুম, পশ্চিম দিকের নারকোল গাছটা থেকে ধুপ্ করে একটা ঝুনো নারকোল যেই পড়লো; অমনি একটা শুকনো নারকোল ডালপাতাসমেত আছড়ে পড়লো বুড়ির পশ্চিমদিকের ঘরের চালে! ব্যাস্ আর যায় কোথা; বুড়ি গাল পাড়তে লাগলো নারকোল গাছটাকে— ‘মর-মর, পাতা ফেলবার আর জায়গা পেলিনা? আমার ভাঙা ঘরটার উপর ফেল্লি!’...
আবার একদিন শ্রাবণ মাসের রাতে ঝড়-জল হয়ে যত রাজ্যের আমপাতা, ছাতিম পাতা আর ছাতিম ফুল পড়ে বাড়ির উঠোন ভর্তি হয়ে গেছে! বুড়ি সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই বক্ বক্ করতে করতে চেঁচামেচি শুরু করল— ‘মর মর তোরা, পাতা ফুল ফেলবার আর জায়গা পেলিনা? আমার কাজ বাড়ালি; বড্ড আমার গতর দেখেছিস!’...
বুড়ি বকেই চলেছে ঝাঁট দিতে দিতে! ঝড় জলে ভিজেও বুড়ির রকম দেখে বুড়ির বাড়ির গাছগুলো, সোনারোদ্দুরে খিল খিল করে হাসছিল! বুড়ির গাল খেয়েও তারা বুড়ির উপর একটুও রাগ করেনি!
কিছুদিনের মধ্যেই কিন্তু ঝড়-জলে বুড়ির পুরানো ঘরটা নড়বড়ে হয়ে গেল। তাই বুড়ি আর কি করে; মিস্ত্রি ডেকে দিনকতক বাদে তার বাড়ির পুব দিকে সরু রাস্তাটার গা ঘেঁষেই একটা মাটির বাড়ি তৈরী করার বন্দোবস্ত করল। এবারের ঘরটা একটু বড়, টালির ছাউনি; তবে গাছপালাগুলোর আওতার বাইরে একটু ফাঁকা জায়গায়। মাটির একটা দুয়ার আর একটা গেটও করল বুড়ি, বাড়ির মর্যাদা বাড়াবার জন্য!
বেশ ভালই চলছিল, বুড়ির মেয়ে-জামাইও বেশ আনন্দ পেল মায়ের নতুন ঘরটাকে দেখে। গাছ-পালা গুলোও খুব খুশি; বুড়ির মেজাজ ভালো হয়ে গেছে দেখে! তাদের এখন আর বেশি গালাগাল খেতে হয় না! তাই তারাও বেশ আনন্দের সঙ্গে নিজেদের মধ্যে, পাখিদের সঙ্গে, সূর্যের সঙ্গে, চাঁদের সঙ্গে কথা বলাবলি করে; ভাবের আদান-প্রদান করে! বুড়িও এখন তার বারমেসে আম গাছের অসময়ের কাঁচা বা পাকা আম, নিজের থেকেই খুশি হয়ে পাড়ার ছেলেমেয়েদের হাতে ডেকে ডেকে দেয়। এমনকি কেউ আমগাছে ঢিল মেরে আম পাড়লেও বেশি চেঁচামেচি করে না। দুষ্টু ছেলে গুলো বুড়ির অসাক্ষাতে পাকা বাতাবি লেবু খায়, আবার কাঁচা বাতাবি লেবু পেড়ে নিয়ে যায় বল খেলার জন্য! বুড়ি এসব জানে, মাঝে মাঝে বকাবকিও করে বটে; তবে এখন তার মেজাজ অনেক শান্ত। ছেলেমেয়েগুলোর আনন্দেই তার আনন্দ। তাকে দেখে মনে হয় সে যেন একটু শান্তি খুঁজে পেয়েছে!...
কিন্তু সব সময় সুখ আর শান্তি একভাবে থাকে না। তাই বুড়িরও শান্তি একদিন বিঘ্নিত হলো আর এক আষাঢ় মাসের দুর্দান্ত ঝড় জলের রাতে! প্রচুর বৃষ্টিপাত আর হাওয়ার বেগে তছনছ হয়ে গেল সারা বাংলা! কত গাছপালা, মাটির ঘর ভেঙে ধুলিসাৎ হলো, কত মানুষ গৃহহারা হলো, জমির ফসল, গাছের আম-জাম-লিচু নষ্ট হলো, মানুষের কষ্টের সীমা রইল না! বুড়ির সাধের আম গাছগুলোর ডালপালা ভাঙলো, নারকোল গাছটার মাথায় বাজ পড়ে ঝলসে গেল নারকোল গাছটা, আর বুড়ির সাধের মাটির গেটটাও মুখ থুবড়ে পড়লো সামনের গলি রাস্তাটার উপর!
পরদিন ভোর বেলা— তখনো বৃষ্টি ঝরছে! এই দুর্যোগে বুড়ির সারারাত ঘুম হয়নি। সকালে উঠে মাটির গেটটার অবস্থা দেখে বুড়ির চোখ থেকে টপ্ টপ্ করে জল পড়তে লাগলো। ভাঙা গেটের বড় বড় মাটির টুকরো, আর ছোট-ছোট মাটির টুকরোগুলো পড়ে, বাড়ির বাইরে আসাও দুস্কর হয়ে পড়েছে! বুড়ি ভিজতে ভিজতে চোখের জল ফেলতে ফেলতেই প্রাণপণে দুহাত দিয়ে ভাঙা গেটের ভিজে মাটির বড় বড় ঢেলাগুলো সরাবার চেষ্টা করলো, কিন্তু পারছিল না। তাই ছোট ছোট ঢেলাগুলো সরাচ্ছিল যখন, আমরাও তখন উঠে পড়েছি। বাড়ির বাইরে এসে দেখি, বুড়ি তখনো চেষ্টা করছে মাটির বড় বড় চাঙর সরিয়ে বাইরে আসার রাস্তাটুকু পরিস্কার করতে!...
আমি আর আমার ছেলে বেণুও হাত লাগালুম মাটির ঢেলাগুলো সরিয়ে বুড়ির ঘরের বাইরে আসার রাস্তাটুকু ঠিক করতে। বুড়ি আমাদের কিছু বলল না, তবে মনে মনে বেশ আনন্দ পেল।
একটু পরে আকাশ মেঘমুক্ত হলে, ঝড় জল থেমে গেছে যখন, সূর্যদেবের ঝলমলে আলোয় চারিদিক পাখিদের কলকাকলিতে ভরে গেল! বুড়ির গাছগুলোর পাতায় পাতায় শিহরণ জাগলো, পাখিরা এসে বসলো তাদের ডালে। কত সুখ-দুঃখের কলকাকলিতে ভরে গেল বুড়ির বাড়ি। শুধু সেই হতভাগ্য নারকোল গাছটার ঝলসে যাওয়া পাতাগুলো একটা একটু করে খসে পড়তে লাগলো! আর কিছুদিনের মধ্যেই নারকোল গাছটা, একটা বিরাট স্মৃতিস্তম্ভের মত আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে প্রার্থনা করতে লাগলো নবজন্মের জন্য!
বুড়ির বাড়ির গল্পটা কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। কিছুদিন বাদে বুড়ি তার সখের ভাঙা মাটির গেটটার জায়গায় রাজমিস্ত্রী আনিয়ে একটা পাকা ইঁটের গেট তৈরী করলো। সিমেন্ট দিয়ে মাজাঘষা সেই গেট যেন বুড়ির মাটির ঘর, আর বুড়ির বাড়ির সব গাছপালা গুলোকে নিজের স্থায়ীত্বের ও সৌন্দর্যের অহঙ্কার নিয়ে ঠাট্টা করতে লাগল! তবে বুড়ি বেশ খুশিতেই ছিল গেটটাকে নিয়ে! এতদিনে তার বাড়ির গেট বেশ শক্তপোক্ত হয়েছে, আর ঝড় হলে ভেঙে পড়বে না। বেশ ভালই কাটছিল বুড়ির দিনগুলো।
তবে, সব সুখ-শান্তি বড়ই ক্ষণস্থায়ী! তাই বুড়ির সুখও বেশিদিন রইল না। তার বয়স হয়েছে, শরীরের জোর কমে গেছে। সর্দ্দি জ্বরে ভুগতে লাগলো বুড়ি। বুড়ির মেয়ে এসে মাকে নিয়ে গেল তার বাড়িতে। বুড়ির বাড়ির গাছগুলোর কি মন খারাপ! তাদের দিকে তাকিয়ে কেউ গল্প করে না। পাতা ঝরে পড়লে কেউ ঝাঁট দেয় না উঠোনটাতে, কেউ গালাগালও দেয় না! শুধু সেই বাজপড়া নারকোল গাছটার মাথায় একটা ফোকর হয়েছে, সেইখানে একটা কাঠঠোকরা এসে সেটাকে শক্ত ঠোঁট দিয়ে ঠুকে ঠুকে বড় করে বসবাস করতে লাগল। কিন্তু দিনকতক বাদে গোটা দুই-তিন টিয়া পাখি এসে কাঠঠোকরাটাকে তাড়িয়ে ফোকরটার দখল নিয়ে নিল! কাঠঠোকরাটা আর কি করে; সে মনের দুঃখে নারকোল গাছটায় তার দখল হয়ে যাওয়া ফোকরটার হাত দুই-তিন নিচে, ঠোঁট দিয়ে ঠুকে ঠুকে আবার দুটো কোঁটর তৈরী করে, একটায় বেশ আরাম করে বাস করতে লাগল। কিন্তু তারও এতো সুখ সইল না! কোথা থেকে এক জোড়া শালিখ পাখি এসে তার একটা ফোকর দখল করে ফেলল! কাঠঠোকরা আর কি করে; সে মনের দুঃখে নারকোল গাছটাকে ছেড়ে কোথায় পালাল কে জানে!
এদিকে বুড়ির পাকা গেটটার সঙ্গে বুড়ির আমগাছ কাঁঠাল গাছ, সুপারি গাছ, সজনে গাছগুলো একটু ভাব জমাতে গিয়ে বেশ মুশকিলে পড়ল। সিমেন্টের পাকা গেটটা নিজের গরবে আর সৌন্দর্যের অহঙ্কারে, কথাই বলতে চায় না গাছগুলোর সঙ্গে, এমনকি একটু ফিরেও তাকায় না! টক আমের গাছটা আর বারমেসে আমগাছটা গেল বেজায় রেগে। তারাও ঝড় হলে শুকনো পাতাগুলো হাওয়ায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে ভাসিয়ে দিয়ে গেটটার মাথায় টুপ্ টাপ্ ফেলত আর আম পাকলে পাখিগুলোকে বলতো— ‘যাওতো ঐ দুষ্টু গেটটার মাথায় পাকা আমের ছিবড়েগুলো ঠোঁটে করে ফেলে এসো তো!’... পাখিগুলোও মজা পেয়ে তাই করতো!...
বুড়ি চলে গেছে মেয়ের বাড়ি। তাই অনাদর আর অবহেলায় বুড়ির পূব দিকের মাটির বাড়িটাও গেল একদিন ভেঙে! গাছগুলো বুড়ির দুঃখে হায় হায় করতে লাগল। তবু এতো দুঃখেও টক আমগাছ আর বারোমেসে আমগাছটার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা মিষ্টি আমের গাছটা তার ডালপালাগুলো দিয়ে টক আমগাছ আর বারোমেসে আমগাছটার গায়ে আদর আর ভালবাসা জানাতো, সান্ত্বনা দিত! এই দুঃখের মাঝে একদিন কারা এসে কাঁঠাল গাছটাকে নিষ্ঠুর ভাবে কেটে ফেলল। তবে আমগাছগুলোকে কাটল না। গাছগুলো শুনলো বুড়ির ভিটে বাড়ি গাছপালা শুদ্ধু বিক্রি হয়ে গেছে!...
সেদিন হু-হু করে হাওয়া বইছিল। মনে হচ্ছিল যেন গাছগুলো দীর্ঘশ্বাস ফেলছে তাদের বন্ধু কাঁঠাল গাছটার জন্য! কাঁঠাল গাছের গুঁড়িগুলো, ডালপালা গুলো টুকরো করে যখন গেটটার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, গেটটা একটুও দুঃখ প্রকাশ করল না! উপরন্তু মুখ ভেঙচে বলল— ‘যত্তো সব জ্বালাতন!’...
আমগাছগুলোর যখন এতো দুঃখ, তখন তাদের দুঃখ আরো বেড়ে গেল যেদিন সুপারি গাছটার সুন্দর পাতাগুলো হঠাৎ হলুদ হয়ে শুকিয়ে যেতে লাগল। গাছটার গায়ে কি এক পোকা লেগেছে; অসুখ করেছে তারও! একদিন গাছগুলো শুনলো— সেই বুড়ি আর নেই! বুড়ির সঙ্গে সুপারিগাছটাও যেন চিরবিদায় নিল পৃথিবী থেকে! হায়... হায়... করতে লাগল আমগাছ গুলো, লেবুগাছটা, সপ্তপর্ণি গাছটা আর সজনে ফুলের গাছটা! কিন্তু গেটটা বুড়ির মৃত্যু সংবাদ শুনেও কিছু বলল না এমনকি একটু চোখের জলও ফেলল না!...
সেদিন রবিবার, দেখি বুড়ির বাড়ির পাশে দক্ষিণ দিকে নব নন্দীর বিরাট দোতলা বাড়ির বৌ ঝুমা এলো এক ঝুড়ি গোবর নিয়ে! সে এসে দাঁড়ালো বুড়ির গেটের সামনে। গোবরগুলো দুহাতে মাখতে মাখতে এক থাবড়া গোবর ডান হাতে তুলে নিয়ে বুড়ির সাধের পাকা গেটের মুখে ধপাস্ করে বসিয়ে দিল। বেচারা গেট বেজায় ঘাবড়ে গিয়ে রেগে বলল-- ‘এঃ! এ কি হচ্ছে? কি বিচ্ছিরি গন্ধ!’... নব নন্দীর বৌ কিন্তু গেটটার কথা একটুও শুনতে পায়নি! সে আবার এক ধাবড়া গোবর কষাল গেটের গায়ে! পাকা গেটটা এবার কেঁদে ফেলল! তার চোখের জল দেখতে পেল না নব নন্দীর বৌ! সে তার ঝুড়ির সব গোবরটুকু গেটটার গায়ে ঘুঁটের আকারে সাজিয়ে দিয়ে মনের আনন্দে বাড়ির দিকে চলে গেল!
সকালের সূর্যদেবের মিষ্টি আলো পড়ছিল গেটটার মুখে, তবু তার কান্না থামল না! বুড়ির বাড়ির আমগাছগুলো কিন্তু বেজায় মজা পেয়ে হাসছিল— ঝির ঝির বাতাসের সঙ্গে তাদের পাতাগুলো দোলাতে দোলাতে! তারা বলছিল— ‘ঠিক হয়েছে... ঠিক হয়েছে... বড্ড অহংকার!!’...