ছোটোদের কথা
ছোটোদের কথা
কাকিমার বাড়িতে আমি ২০ বছর আছি, ২০০৪ থেকে আজ পর্যন্ত কাকিমা আমার চোখে চোখে ভাসছে। কাকিমার কথা আমার উঠতে বসতে সবসময় মনে পড়ছে। এই ২০ বছরের মধ্যে কিছু জিনিস আমার স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমার যদি কোনোদিন কিছু দরকার পড়ত আমি আগে কাকিমাকে জানাতাম। আজ আমি কাকে জানাব, সেই জিনিসটা আমি ভুলতে পারছি না। যখনই কাকিমার বাড়িতে ঢুকতাম কাকিমার হাতে ফোন না হলে রেডিও, পশু, পাখি, গাছপালা— এই সব নিয়েই কাকিমা থাকতেন। এখনও কাকিমার বাড়িতে ঢুকলে মনেই হয় না যে মানুষটা আর নেই। কাকিমার বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কাকিমা আমাকে, আমার পরিবার, পাড়ার প্রতিবেশীর কথা জিজ্ঞাসা করত। আমাকে মেয়ের মতো ভালবাসত এবং আমার ছেলেকে নিজের নাতির মতো মনে করত, তার পড়াশুনা নিয়ে খোঁজ করত। কাকিমা চলে যাওয়ার তিনদিন আগেও কাকিমার অ্যালোভেরা গাছে জল দিয়ে এসেছি। কাকিমা আমার হাতটা ধরে বলল, ‘আর তো আমি গাছ দেখতে পাব না, তোরা দেখবি।’ কাকিমাকে যে একবছর সারাদিন দেখাশোনা করত সেই রিঙ্কু দত্তকেও কাকিমা দুপুরে লেখাপড়া শেখাতে আরম্ভ করেছিল এবং তাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। রিঙ্কুও কাকিমার কাছে বেশ মন দিয়ে পড়াশোনা করত।