ছোটোদের কথা
ছোটোদের কথা
স্মৃতির আড়ালে ডুবে থাকা বৃদ্ধা সহযোদ্ধার সম্পর্কে কিছু বলা বড়ই বেদনাদায়ক।
বয়সের ভারে এবং বাড়ির কিছু অসুবিধার জন্য আমি সশরীরে যেতে পারলাম না।
সামান্য কিছু কথা যা মনে করিয়ে দেবে আমাদের তিন বন্ধুর (আরতি, কল্পনা, সুলেখা) অপূর্ব ভালবাসার কথা।
আমাদের অনেক কথা আছে। তার মধ্যে আরতি কিছু বলেছে। আমিও অন্যদিকের দু-এক কথা বলতে চাই।
একটা মজার কথা মনে পড়ে। স্কুল-কলেজ যাবার সময় বিয়ে বাড়ি দেখে- ‘চল্ যাই বিয়ে বাড়ি’ বলে ঢুকে পড়ি জলখাবারের প্যান্ডেলে। এখনকার মতো নয়; পরিবেশনকারীরা বুঝেও কিছু বলল না। মন্ডা, মিঠাই দিল আমাদের। আনন্দে তা সে কী নাচ।
দুঃখের কথা কত না আছে। আজ আর বলতে ইচ্ছে করছে না।
সাধুমতী গার্লস স্কুলে কাজ করেছিল যখন, তখন আমিও স্কুলের কাজে D.I. Office যাওয়ার সময় স্কুলে গিয়ে টিফিন খেয়ে এসেছি। শিপ্রা দিদিমনি স্কুলের বড়দি খুব ভাল ছিলেন।
কল্পনার গাছপালার উপর বড়ই ঝোঁক ছিল। আর ও কিন্তু গানও জানতো। আরতিও জানতো। আমি মোটা গলায় ওদের সঙ্গে গলা মেলাতাম। উপরের ছাদে গাছে জল দিতে যেত, বারণ করা সত্ত্বেও। কতবার যে পড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই।
ধীরেনদা বলতেন তোমাদের বন্ধুকে বারণ করলেও শুনছে না।
আমি বলাগড়ে থাকতাম। বর্ধমান আসলেই ওদের ওখানে সময় পেলেই যেতাম। একবার আরতি কলকাতা থেকে এসেছে কল্পনার বাড়িতে। আমাকে কল্পনা ডাকলো। আমরা তিনজনে গল্প করতে করতে ভুলে গেলাম খাবারের কথা। ধীরেনদার ডাকে জ্ঞান ফিরলো। প্রচুর কথা এই অল্প সময়ে লিখতে পারলাম না। কল্পনার আত্মার অমরত্ব কামনা করি। দেহদান করে কল্পনা সকলকে জানিয়ে গেল ‘‘দেহদান পবিত্র ধর্ম’’।