ছোটোদের কথা
ছোটোদের কথা
চাঁদ পৃথিবীর একটি স্বাভাবিক উপগ্রহ। মানুষের কাছে চির কৌতূহলের এক বিষয় হলো চাঁদ। চাঁদের বুড়ি কোথায় চরকা কাটে তা জানার আগ্রহ ছোট থেকে বুড়ো সবার। চাঁদের মাটি কেমন, কোথায় আছে গহ্বর, কোথাও নদী আছে কিনা, সোনার খনি কি কোথাও লুকিয়ে আছে! এইসব জানতে গিয়েই বিভিন্ন দেশ একের পর এক অভিযান চালিয়েছে। এইসব ব্যাপারে এগিয়ে আছে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান ইত্যাদি দেশগুলি। বিভিন্ন অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে আমেরিকা ও চীন একত্রিত করে, তাকে বিশ্লেষণ করে, তাকে মানচিত্রে প্লট করে তৈরি করেছে সমগ্র চাঁদের একটি নিখুঁত মানচিত্র।
প্রথমে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমেরিকার নাসা। ষষ্ঠ অ্যাপোলো অভিযান থেকে প্রাপ্ত চাঁদ সম্পর্কে তথ্যগুলিকে একত্রিত করে মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। কাজটি অত্যন্ত দূরহ ও বিরাট কাজ। কাজটি বিশদভাবে করেছিল ‘ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে, নাসা এবং লুনার প্লানেটরি ইনস্টিটিউট’। চাঁদের এই ম্যাপ ‘ইউনিফায়েড জিওলজিক ম্যাপ অফ দ্য মুন’ নামে পরিচিত। বর্তমানে এই ম্যাপটি অনলাইনেও সহজেই পাওয়া যায়। এটি থেকে চাঁদের ভূমির বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়, যার অনুপাত হল ১ : ৫,০০,০০০। দুই মেরু এবং চাঁদের বিষুব অঞ্চলের পরিচছন্ন মানচিত্র আঁকা সম্ভব হয়েছে। জাপানের এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা ‘জাকসা’ এই কাজটি বিশদভাবে করতে সহযোগিতা করেছে। সমস্ত তথ্যগুলি হাতে আসতে বিজ্ঞানীদের প্রায় ৫ দশক সময় লেগেছে। তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে দক্ষ বিজ্ঞানীরা মিলে তৈরি করেছেন এই মানচিত্র। এই মানচিত্র ভাবীকালের বিজ্ঞানীদের চাঁদে অভিযান আরো সহজ করবে।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অতি সম্প্রতি চাঁদের আরো নিখুঁত মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এটি প্রকাশ করেছে ‘চায়না অ্যাকাডেমী অফ জিও সায়েন্সস’ ও ‘চাইনিজ একাডেমী অফ জিওলজিক্যাল সার্ভে’।