ছোটোদের কথা
Embedded Files
শীত বাঙালি
শীত বাঙালি
প্রত্যুষা মণ্ডল
নবম শ্রেণি, বীজপুর হাই স্কুল
প্রত্যুষা মণ্ডল
নবম শ্রেণি, বীজপুর হাই স্কুল
শীত পড়েছে, শীতের দিনে
শীতঘুমে যাই ডুবে
কি জানি ভাই, মস্তানি সব
কোন দিকে যায় উবে!
উৎসব আর রঙের বাহার
শীতের বুড়োর ঝোলায়
সুখ খুঁজে পাই হিমেল হাওয়ার
অল্প কথা বলায়।
লম্বা পিঠে, মন্ডা পিঠে
পিঠের হরেক জাত,
পিঠেপুলি ভাগ করে নেয়
সময় ধারাপাত।
পৌষমেলা ও বড়োদিনে
লক্ষ জনের ভিড়ে,
চেপ্টে না যাক পার্বনগুলো
না যাক কেউ ফিরে।
আগলে রাখুক সব বাঙালি
হৃদয় না যাক মরে,
বারমাসের তের পার্বন
সব বাঙালির ঘরে।
১২ জানুয়ারী ২০২৫ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে সকালে শিশু নিকেতন বিদ্যালয়ে ‘ছোটদের কথা’র সহযোগিতায় প্রবন্ধ এবং ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় সফল তিনটি ছবি এবং একটি বাংলা, একটি ইংরেজি প্রবন্ধ তুলে দেওয়া হল—
কাজি আরিফ হোসেন, শিশু নিকেতন, চতুর্থ শ্রেণি, প্রথম
কাজি আরিফ হোসেন, শিশু নিকেতন, চতুর্থ শ্রেণি, প্রথম
দেবাত্রী দাস, অষ্টম শ্রেণি, চকদিঘী গালর্স হাই স্কুল
দেবাত্রী দাস, অষ্টম শ্রেণি, চকদিঘী গালর্স হাই স্কুল
অর্চ মণ্ডল, শিশু নিকেতন, চতুর্থ শ্রেণি, দ্বিতীয়
অর্চ মণ্ডল, শিশু নিকেতন, চতুর্থ শ্রেণি, দ্বিতীয়
সোহারত মিরজা, শিশু নিকেতন, তৃতীয় শ্রেণি, তৃতীয়
সোহারত মিরজা, শিশু নিকেতন, তৃতীয় শ্রেণি, তৃতীয়
স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা
স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা
ঐশিকা বসু, সেন্ট পলস্ একাডেমি, অষ্টম শ্রেণি,
প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে প্রথম
ঐশিকা বসু, সেন্ট পলস্ একাডেমি, অষ্টম শ্রেণি,
প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে প্রথম
‘‘সপ্ত ঋষির এক ঋষি
অরূপ তোমার মুরতি
গভীর ধ্যানে মগ্ন আছ
প্রণাম লহ বীর সন্ন্যাসী॥’’
ভারতবর্ষের আকাশ তখন পরাধীনতার কালো অন্ধকারে ঢাকা। ইংরেজ শাসকের শোষণে ও অত্যাচারে দরিদ্র, আর্ত, পীড়িত ভারতীয়ের জীবন বিপন্ন। সমাজ জীবনে সর্বত্র হিংসা, ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক হানাহানি। সমাজের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মের নামে গোঁড়ামি। আপামর, সাধারণ ভারতবাসী বেঁচে ছিল শুধু ‘প্রাণ ধারণ আর দিনযাপনের গ্লানি’ নিয়ে।
সমাজের এমনই প্রেক্ষাপটে কলিকাতার সিমলাপাড়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করে এক বিস্ময় বালক নরেন্দ্রনাথ। পিতা বিশ্বনাথ দত্ত হাইকোর্টের বিখ্যাত অ্যাটর্নি, মাতা ভূবনেশ্বরী দেবী। পিতা উদার প্রকৃতির মানুষ এবং মাতা ধর্মপ্রাণ মহিলা। বাড়িতে মা নাম রেখেছিলেন বীরেশ্বর আর আদর করে সবাই ‘বিলে’ বলে ডাকত। এছাড়াও তাঁকে ‘নরেন’ বলেও ডাকত অনেকে।
ছোটোবেলা থেকেই বিলে ছিল অত্যন্ত সাহসী, মেধাবী এবং জেদি। খুঁটিনাটি সব বিষয় জানা এবং সব কিছুকে যাচাই করার এক অদ্ভুত প্রতিভা ছিল তার। সে পড়শোনাতেও ভীষণ ভালো ছিল। ঘুমানোর সময় তার অদ্ভুত এক অনুভূতি হত। চোখ বন্ধ করলেই তার মনে হত যেন তার কপালে দু-চোখের মাঝে একটি ঝলমলে বিন্দু দেখা দিচ্ছে, যেটি আস্তে আস্তে বড়ো হতে থাকত। এক সময় সেই বিন্দু এতটাই বড়ো হয়ে যেত যে তার সারা শরীরকে সাদা আলোয় ধুইয়ে দিত। এরপর সে ঘুমের কোলে ঢলে পড়ত। সে ভাবত ঘুমানোর সময় সবারই এরকম অনুভূতি হয়। এসব কিছু শুনে কিন্তু ভেবোনা যে বিলে খুব গম্ভীর প্রকৃতির ছেলে ছিল। সে খুব দুষ্টু এবং চঞ্চল একটি ছোট্টো ছেলে ছিল। সে এতটাই চঞ্চল ছিল যে তাকে সামলানো মাঝে মাঝে এতটাই কষ্টকর হয়ে উঠত যে তার মা রেগে গিয়ে বলতেন যে ‘‘আমি শিবের মতো একজন বাচ্চা চেয়েছিলাম। কিন্তু শিব নিজে না এসে একজন ভূতকে পাঠিয়েছেন।’’
একজন বাচ্চার প্রথম লেখাপড়া শুরু হয় তার মায়ের হাত ধরে। বিলেও তার প্রথম পড়াশোনা শুরু করে তার মায়ের কাছে। পরবর্তী জীবনে সে জানিয়েছিল কীভাবে তার মায়ের কাছে সে প্রথম বর্ণমালা চিনেছিল। ছোট্টো বিলে তার মায়ের কোলে বসে বসে রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প শুনেছিল। রামায়ণের গল্প শুনে তার এত ভালো লেগেছিল যে সে একটি রাম-সীতার ছোট মূর্তি কিনে সেটাকে প্রত্যেকদিন পুজো করত। সে মাঝে শিবেরও পুজো করত। ছয় বছর বয়সে তাকে সিমলা পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করে সে এমন অভব্য ভাষা শিখেছিল যে সেটা তার বাড়ির লোকের একেবারেই পছন্দ হল না। তাই তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে এনে গৃহশিক্ষক রেখে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হল। নরেন তার পড়াশোনায় উন্নতি করতে থাকল। অন্য ছাত্ররা যখন বর্ণমালা চিনতে ব্যস্ত, তখন সে লিখতে পড়তে শিখে গেছে। তার সব শুনে শুনেই মুখস্ত হয়ে যেত। রামায়ণ ও মহাভারতের বেশ কিছুটা অংশ তার শুনে শুনে মুখস্ত হয়ে গেছিল, তারপর সাত বছর বয়সে বিলেকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতিষ্ঠা করা মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশনে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে খুব সহজেই শিক্ষকরা তার মেধার পরিচয় পান। কিন্তু তার বন্ধুদের থেকে জানা যায় যে সে এতটাই ছটফটে ছিল যে তাকে বেশিরভাগ সময়েই ডেস্কে পাওয়া যেত না।
বিলে ছিল খুব দানশীল প্রকৃতির। গরীব দুঃখীদের দান করতে পারলে সে আর কিছু চাইত না। কোনো গরীব মানুষকে দেখলেই সে বাড়ি থেকে যা ইচ্ছে নিয়ে এসে দিয়ে দিত। সে ছিল ভীষণ পরোপোকারী। পাড়ার সবার সাথেই তার ভীষণ ভালো সম্পর্ক ছিল। সে জাত-পাতের ভেদাভেদ করত না। সমাজের সব রকম মানুষের সাথে সে সমান ভাবে মিশত। ছোট্টো বিলে সব সময় সত্যের পথে থাকত। মিথ্যের আশ্রয় সে কোনোদিন নেয়নি। এজন্য সকলে তাকে খুব ভালোবাসত।
বিলে শৈশব- কালে খেলাধূলা বেশ পছন্দ করত। তার মধ্যে তার সব থেকে পছন্দের ছিল ‘ধ্যান-ধ্যান’ খেলা। একবার ঘরের এক কোণে বসে ধ্যান করতে করতে সে এমন হারিয়ে গেছিল যে তাকে দরজা ভেঙে ঝাঁকুনি দিয়ে জাগাতে হয়েছিল। আরেকবার, সে বন্ধুদের সাথে ধ্যান করছিল গাছ তলায়। হঠাৎ এক সাপ চলে আসায় তারা বিলেকেও সাবধান করে। কিন্তু ধ্যানে মগ্ন বিলে কিছুই বুঝতে পারে না। সাপটি তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিজেই চলে যায়। বলা হয় যে সাপটি সেদিনকে তার মধ্যে স্বয়ং ভগবানকে দেখেছিল। এমন অনেক ছোটো ছোটো গল্প আছে যার থেকে আমরা তার ব্যাপারে জানতে পারি।
এখনকার যুগে সব ছেলেমেয়েদেরকে তাদের বাবা মা ইঁদুর দৌড়ে নামাচ্ছেন। পড়াশোনায় তাদের বাচ্চাই যেন সেরা হয়। কিন্তু কেউ ভালো মানুষ হওয়ার কথা বলছে না। সেই ইঁদুর দৌড়ে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে শিশুদের মাথায় নানারকমের অসামাজিক চিন্তা ভাবনা আসছে, তাই বিলের গল্প তাদের জানা উচিত।
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে বিলে কলেজের পরীক্ষায় খুব ভালো ভাবে পাশ করে। এরপর তো শুরু হয় স্বামী বিবেকানন্দ হওয়ার যাত্রা, সেই গল্প লিখে শেষ করার না। তাই আজ এখানেই শেষ করলাম।
নিজের ভাষায় স্বামীজীকে প্রণাম
নিজের ভাষায় স্বামীজীকে প্রণাম
‘‘মানব জীবনের আদর্শ তুমি
হে বীর সন্ন্যাসী
জন্মদিনের পুণ্য লগ্নে
লহ গো প্রাণের অর্ঘ্য
কলিকাতার পুণ্য ভূমিতে
তোমারে জন্ম দিয়ে
ভারত জননী চির গর্বিত
বিবেকানন্দ নামটি নিয়ে।’’
Swami Vivekananda
Swami Vivekananda
Dipayan Sur, Class-XI
Dipayan Sur, Class-XI
Swami Vivekananda Academy, 1st
“The world is a gymnasium where we come to make ourselves strong.”
– Swami Vivekananda
Our planet has come a long way and so has our nation. We are able to perceive exponential growth in economy, in science, in technology. But are we able to perceive conspicuous change in our mind sets or sense of humanity? Often we rustle the pages of newspapers and come across acts of inhumanity claiming assassinations corruptions, vandalisms, sabotages, bribery and so on for sake of fame and finance. Are we able to perceive change in education system? Children simply by heart, engulf chapters, vomit them on papers and aspire to fetch good grades or instead hit the sack or deep dive into digital games. The governments also support them by further shortening the syllabuses. Value education in schools are nothing but memorisations just like literature and no inheritance of values. We are also not able to conserve nature. Our poor maintenance shall lead to an endangering situation like the Los Angeles incident. The base of all these lies in our morality. We have received bookish education, that to half-heartedly but not education in it’s true sense. This is where we fall behind.
It was January twelve, 1863, when a born genius by the name of Narendranath Dutta, whom we know today as Swamiji was born in Simla para, Kolkata. He stated that his target was “making man” since man is the future of nation. All the questions I brought forth, the answers lie hidden in his preachings and only needs a good eye to visualise. During his childhood, he handed a knife to his mother holding the sharper side, so that she will not get harmed. In this way, he stated that it is not only for the case of parents but also for the case of every fellowmen on earth. “He who loves lives, is loved by God”. While he was in Chicago, attending the World Parliament of Religions in 1893, he saw that the Indian epic, “Bhagvad Gita” was listed at the bottom. During his speech he marked, “Good foundation” and wittily threw sentences that not only heightened the story of epic but also captivated the audience. His famous beginning, “sisters and brothers of America” upholds that duity is key to progress. This notion was very pivotal in fueling the Indian Independence Movement as conflicts between religions were a bane. While in England, he was having a conversation with an English friend where he corrected his English. The boy reviled him and commented that since English is his tongue, a foreigner has no right to correct. Swamiji said, “My friend, while I had learnt the language, you had picked the language and these where the difference lies”. In another incident, he was supposed to dine with an English professor when the professor marked, “A pig and a bird can’t dine simultaneously”, Swamiji stated, “Whenever you tell me, I shall fly Sir” comically. Through these incidents he preached that humour is a sign of intelligence and can be used to dispute any colossal conflict calmly yet bond stays firm and warm. When it comes to progress in career, a man must possess curiosity and diligence. Like Swamiji was curious about existence of God and so he appealed to Sri Ramkrishna Paramhanshodeva who satisfied him with an answer. Curiosity is the key to unfolding mysteries, otherwise it is folly to live an ignorant life devoid of any interrogation, adventure and thrill. Consequently no progress can be fetched. Children nowadays are too engrossed in gadgets that they have lost the ability to question. They have lost inquisitiveness regarding the world which is a great drawback to their development. He preached that education should not be only about gaining plain knowledge but children should be trained on how to tackle emergencies, be pragmatic and be unselfish. He was a nationalist who had also traversed far and wide and gained varied insights. He realised that though foreigners possess outrageous attitude to their guests, they are disciplined in their own lifestyle. The parents are strict to their wards and train them how to be sturdy and be eclectic both physically and mentally. This is the reason for their huge colonising potential where only forty million people are authorising over five hundred million. On the other hand, in his own motherland the multitude is lenient and cordial to the visitors but not at all vigilant about sustainable development, growth and authorisation. He preached that not only the good, but also the bad ones should be taken into consideration to achieve something lucrative “If you experience both bad and good qualities, bring them in, adsorb them in your own ways and stay luminous in the aftermath”. He also remarked that to be successful one must take risks “Take risks for, if you achieve success, you WILL LEAD, else if you fail, you WILL GUIDE!” Without risks, life is meaningless, worthless but with risks, life is all about adventures and thrills and experiences. Venturing out is the key to upliftment and acquiring experiences. Beside going for risks, man must make a thorough planning and the execution of their tasks goes through three procedures - ridicule, opposition and finally acceptance. Thoughts are meant to be ridiculous as he said but that shall not hinder our spirit for “The greatest sin is thinking ourselves to be weak”. Next comes opposition which is thronging with criticism and humiliation and finally comes success. He said, “Time will prove what’s right, what’s wrong”. He preached that no matter how strenuous the situation goes or how wild it runs, there should always be humility in our words and actions. He further asserted that “If I live with a million faults, why shall I scorn other with only a few faults?” Here he meant that if I dare to reform the world, first I need to reform myself, review and reconstruct my opinions and mindsets and then I shall step to wrought a mayhem for the good.
Generation beta has begun a few days ago. Our future counts on them and on the existing juveniles Swamiji’s teachings has indeed got a lot to do, with our lives, for our nation but phones have taken better shapes than books to our misfortune. Destiny is not fixed, it is shaped. Only we need to deviate from the wrong road and drive on the right one. Swamiji’s quotations are hypnotic, are like magic spells. To be precise, certain hypnotisms are meant for the good, for the welfare. Thus, “Enlighten yourself spiritually...”
Page updated
Google Sites
Report abuse