ছোটোদের কথা
ছোটোদের কথা
আহাঃ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
তোর আসার পথ চেয়ে
আশায় আশায় বসে রই
পাশে এসে বসলে পরে
দুটি-একটি কথা কই।
চলে না চরণ
ক্ষীণদৃষ্টি নয়ন
উপহার কিম্বা উপহাসে
পুরস্কার কিম্বা তিরস্কারে
এক ভাবেই তো রই
আয় না রে ভাই সই
তবু আনন্দতেই রই।
আকারে ইঙ্গিতে
আচারে ব্যবহারে
মানে-অপমানে
মনের জ্বালাতে
মুখ বুঝে সবই তো সই
আয় না রে ভাই সই।
সব প্রমোদে ঢালিয়ে দিয়ে মন
অক্ষম অর্জনে
ভরসা সুদে-সঞ্চয়ে
দরকারে প্রয়োজনে
ডাকঘরেতে যাই
শূন্য হাতে ফিরে আসি
মেলে না তো কাঁপা হাতের
ভাঙ্গাচোরা সই
আয় না রে ভাই সই।
প্রজেশ চক্রবর্তী ‘ছোটদের কথা’য় লিখতেন এবং একজন শুভানুধ্যায়ী, শারীরিক কারণে এবং বয়েসের ভারে তিনি আজ গৃহবন্ধী হলেও তাঁর স্মরণ শক্তি এবং চিন্তার সচেতনতা বিদ্যমান। তিনি আমার একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু। মাঝে মাঝে তাঁর কাছে গেলে খুব খুশী হন। একজন বৃদ্ধ দাদুর মনের ভাব তোমাদের সামনে তুলে দিলাম।
—ধীরেন্দ্রনাথ সুর