ছোটদের কথা
ছোটদের কথা
সারা জীবন অর্থ কখনও সাথ দেয় না। কারণ আজ যে মানুষ অর্থ উপার্জন করে অহংকারের সঙ্গে তার বিরক্তের পরিচয় দেয় কে বলতে পারে সেই পরবর্তীকালে অর্থের অভাবে ভিখারির জীবদ্দশা কাটায়। এরই একটি উদাহরণ আজ আমি দেবো। যেমন— আমার বাড়ি যে গ্রামে ঠিক তার পাশের গ্রামে ছিল একটি বড়ো জমিদারদের বাড়ি। তারা এককালে ছিল সেই এলাকার সবচেয়ে নামী দামী এবং সবচেয়ে বড়ো পরিবার। সেই সময় যিনি ছিলেন জমিদার তিনি ছিলেন খুবই দয়ালু এবং দান-ধ্যান পুণ্য কাজে ছিল তার মন। তিনি তাঁর সময়ে যেমন এলাকার সবচেয়ে নামী জমিদার এবং তিনি তার সঙ্গে প্রচুর দানও করতেন। দান করতেন বলেই সেই এলাকার মানুষও তাঁকে ভালোবাসত এবং শ্রদ্ধা করত খুব। তাই তার জীবন সুখ এবং ধনদৌলত ছিল প্রচুর। কিন্তু তারপর সেই জমিদার মারা যাওয়ার পর সেই জমিদারের ছেলের হাতে জমিদারির ভার। সে জমিদার হওয়ার পর নাতো সে করত দান-ধ্যান না সে ছিল দয়ালু। অথচ তাঁর মধ্যে পরিপূর্ণ ছিল অহংকার এবং লোভের। আর এই অহংকারের জন্য ধীরে ধীরে তাদের জমিদার বাড়ির ধন-সম্পদ সবই আস্তে আস্তে কমতে থাকল। এরপর কারা আস্তে আস্তে ভিখারিতে পরিণত হলো। তাদের এই অহংকারই হয়ত তাঁকে ভিখারি করেছে। এর থেকেই বোঝা যায় আজ যে রাজা কাল সে ভিখারি।
অবশেষে আমার মতে কোনো মানুষ যখন তার সাফল্যের শিখরে একটু একটু করে ওঠে তখন তার অহংকার না করে তাঁর কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা তার নিজেকে তার লক্ষ্যে সাফল্যমণ্ডিত করা।