ছোটদের কথা
ছোটদের কথা
গত সোমবার আমি আমার শ্রেণী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও আমার বন্ধু-বান্ধব মিলে বর্ধমান চিড়িয়িখানা গেছিলাম। সেখানে নানারকমের পশু পাখি ছিল। বাঘ, সিংহ, হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি ছিল। চিড়িয়াখানা বলতে আমার মনে হয়, পশু পাখিকে বন্দী করে রাখা। আমি অনেক পশু দেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সিংহকে দেখতে পায়নি। যেই সিংহটি চিড়িয়াখানায় ছিল হঠাৎ তার শরীর খারাপ হয়ে গেছিল। আমার সেদিন প্রথম চিড়িয়াখানা দেখা। তারপর আমরা পাখি দেখতে গেলাম। কত রকমের পাখি লাল, হলুদ, পুরো নীল খুব সুন্দর! আমাদের সবারই চোখ জুড়িয়ে গেছিল। আরেকটা মজার বিষয় হলো আমরা একটা বিশাল বড়ো কুমির দেখেছিলাম। সেটা সত্যি বলতে পাথরের মূর্তির মতো লাগছিল। আমাদের ক’জন বন্ধু তো বুঝতেই পারেনি ওটা কুমির ছিল। আমরা একটা ছোট্ট ঝিলের কাছে গেছিলাম। সেখানে হরেক রকমের মাছ ও পরিযায়ী পাখি দেখেছিলাম। পরিযায়ী পাখিগুলো খুব সুন্দর দেখতে ছিল। তারা আমাদের দেশে শীতের সময় আসে। কারণ যেখানে তারা থাকে তখন শীতের সময় খুব শীত পড়ে, ওই প্রখর শীতে ওরা থাকতে না পেরে আমাদের দেশে আসে। আমাদের চিড়িয়াখানায় পশুপাখিরা বন্দী থাকে আর জলপাইগুড়ির জলদাপাড়া অরণ্যে বা বিভিন্ন অরণ্যে এখনও পর্যন্ত আমরা জিপে বন্দী থাকি আর পশুপাখিরা জঙ্গলে ছাড়া থাকে।