ছোটদের কথা
ছোটদের কথা
আমি একদিন আলিপুর চিড়িয়াখানা গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে বাবা, মা, দিদি, ভাই, বোন গিয়েছিল। চিড়িয়াখানায় টিকিট কেটে ঢুকতেই দেখি কত লোকের কোলাহল চলছে। দেখছি কেউ খাচ্ছে, কেউ গল্প করছে, কেউ বা বাঘ দেখে অবাক হচ্ছে, কেউ নানারকম সাপ দেখে অবাক হচ্ছে, কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে, সবাই নানারকম কাজ করছে। আমরা ঢুকে নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে খাওয়া-দাওয়া সেরে বেরোলাম ঘোরবার উদ্দেশ্যে। তারপর বাঘ, সিংহ, হরিণ, কচ্ছপ, কুমির, ভাল্লুক, পাখি, সাদা বাঘ, ঘোড়া, উট, বনবিড়াল ইত্যাদি নানারকম প্রাণী দেখলাম, নানান জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখার পর মনটা শান্ত হয়ে গেল কারণ অনেক দিনের শখ ছিল চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাব। সেখানে কত কী প্রাণী আছে সেগুলো নিজের চোখে দেখব, সামনাসামনি দেখলে মনের মধ্যে আলাদা একটা ফিলিং আসে। বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তায় ভাবছিলাম কী মজা, প্রথমবার চিড়িয়াখানা যাচ্ছি, মনে তো ভাবতাম চিড়িয়াখানা যাব কিন্তু আজ ফাইনালি চলেই এলাম। ভাবছি কত আনন্দ হবে না যখন ওখানে যাব, কত কী দেখবো, কী মজা! ভাবছিলাম সোমবার বন্ধুদের বলব— জানিস আমি বলছিলাম না যে আমি চিড়িয়াখানা যাব, আমি শনিবার চিড়িয়াখানা গিয়েছিলাম, তারপর ওদেরকে বলব আমি কী কী দেখলাম, ওরা শুনবে, তাহলে ওদেরও একটু আনন্দ লাগবে। ওরা শুনেছিল যখন, তখন বলছিল ঘুরে এসে আমাদেরকে বলবি আমরাও শুনব। আমি বললাম, আচ্ছা বেশ তোদেরকে বলব। এই সব ভাবতে ভাবতে ওখানের অর্ধেক রাস্তা পৌঁছে গেলাম। তারপর ট্রেনে যেতে যেতে বাদাম, ছোলা, লজেন্স ইত্যাদি কিনলাম। খেতে খেতে যাচ্ছিলাম তারপর পৌঁছে গেলাম। ভাই, দিদি, আমি কত খুশি প্রথমবার চিড়িয়াখানা যাব। কত মজা লাগছে, কত আনন্দ, ট্রেন থেকে নেমে বাস ধরে চিড়িয়াখানায় পৌঁছে টিকিট কাটতে অনেক টাইম লাগল কারণ টিকিটের লাইনে প্রচুর ভিড় ছিল। চিড়িয়াখানা থেকে আসার সময় কত মন খারাপ হচ্ছিল কারণ চিড়িয়াখানায় প্রচুর মজা লাগছিল! এটাই আমার চিড়িয়াখানা ঘোরার অভিজ্ঞতা।