ছোটদের কথা
ছোটদের কথা
জানবার কথা
২০ আগস্ট ১৭৯৯ লন্ডন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ, পুরাতাত্ত্বিক ও বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের জার্নালের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক জেমস প্রিন্সেপ।
ভারতের টাঁকশালে মুদ্রা-ধাতু পরীক্ষকের কর্মজীবন শুরু করে মুদ্রাশাস্ত্র, ধাতুবিদ্যা ও আবহাওয়া বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক অবদান রেখে গেছেন।
১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে জেমস প্রিন্সেপ জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৮১৯ সালে, সেপ্টেম্বর মাসে, কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে এসে নামেন। প্রিন্সেপ কলকাতার টাঁকশালে উপধাতু পরীক্ষক হিসাবে যোগ দেন। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় বারাণসী টাঁকশালে। বেনারস যাওয়ার পথে দু’পাশের দৃশ্য তিনি আঁকা ছবিতে ধরে রাখেন, যা পরবর্তীতে একটি বই হিসাবে প্রকাশিত হয়। বারাণসীর সেন্ট মেরি গির্জার স্থপতি ছিলেন তিনি। স্থাপত্য পুনরুদ্ধারের কাজেও তাঁর নাম উল্লেখযোগ্য। মোঘল আমলের কিছু মসজিদ পুনরুদ্ধার করেন তিনি। খরোষ্টী ও ব্রাহ্মী লিপি পাঠোদ্ধারের জন্য সমধিক প্রসিদ্ধ। ১৮৩০ সালে বেনারস টাঁকশাল বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় কলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর ১৮৩২ সালে কলকাতার টাঁকশালে ধাতু পরীক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন।
তাঁর সবচেয়ে বড় কীর্তি এবং প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবদান তিনি ব্রাহ্মলিপির পাঠোদ্ধার করে ভারতীয় ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করেন। তিনি সম্রাট অশোকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেছিলেন। ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে যা স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকায় অশোক চক্র এবং সমস্ত সরকারি সার্বভৌম প্রতীক অশোক স্তম্ভ সবাই মান্য করে।
২২ এপ্রিল ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৪১ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাওয়া এই মহান মানুষটির মৃত্যু হয়।
১৮৪১ সালে তাঁর স্মৃতিতে গড়ে ওঠে কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাট, যা আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল।